ক্যারিয়ার হিসেবে, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। আজকাল, ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের দৌরাত্মে কারণে ওয়েব ডেভেলপারদের চাহিদা খুব বেশি এবং এটি বাড়ছে। আবার, এই ক্ষেত্রে আয় বেশ ভাল। অনেকের কাছেই অজানা এরকম সম্ভাবনাময় একটি ফিল্ডের ক্যারিয়ারের সত্যিকারের রূপটা ঠিক কেমন তা ।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ারঃ
ক্যারিয়ার হিসেবে, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। আজকাল, ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের দৌরাত্মে কারণে ওয়েব ডেভেলপারদের চাহিদা খুব বেশি এবং এটি বাড়ছে। আবার, এই ক্ষেত্রে আয় বেশ ভাল। অনেকের কাছেই অজানা এরকম সম্ভাবনাময় একটি ফিল্ডের ক্যারিয়ারের সত্যিকারের রূপটা ঠিক কেমন তা ।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি?
একটি ওয়েবসাইটের জন্য সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট । যেখানে সাধারণত একজন ওয়েব ডেভেলপার একটি ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লিকেশন তৈরি করে থাকেন। আর একজন ওয়েব ডিজাইনার যে ডিজাইন করে থাকুক না কেন তার প্রতিটা উপকরণকে সাধারণত ফাংশনাল করার জন্য পরিচালিত কর্মকাণ্ডই হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখতে যা যা লাগবেঃ
১. সাধারণত প্রথমে আপনাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি এবং ডিজাইন কি এই সম্পর্কে ভাল করে জানতে হবে এবং ধারণা রাখতে হবে।অর্থাৎ এক কথায় আপনাকে ব্যাপারটা ভালোভাবে বুঝতে হবে।
২.সাধারণত মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই কাজ করে আপনাকে সফল হতে হলে অনেক ধৈর্য শক্তি থাকতে হবে এবং রিসার্চ করার মানসিকতা থাকতে হবে। ।অনেকে আছেন যারা অনেক ভালো কাজ পারেন কিন্তু তাদের ধৈর্য শক্তি কম তারা অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে।কোন কিছূ না বুঝতে পারলে সেটা রিসার্চ করার করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
৩. আপনার সৃজনশীল চিন্তা করার যোগ্যতা থাকতে হবে। তার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে চর্চা করতে হবে। প্রায় সবক্ষেত্রে অবশ্যই এক্ষেত্রে বায়ার বা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাইবেন তারা আপনার আগের কাজ দেখতে চাইবে। ফলে আপনি যে কাজ গুলো চর্চা করবেন সেগুলোকে তাদের কে দেখাতে পারবেন। এছাড়াও আপনি যখন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে থাকবেন আস্তে আস্তে আপনার এই বিষয়গুলো নিয়ে সৃজনশীল চিন্তা তৈরি হয়ে যাবে।
৪. আপনাকে ইংরেজি জানতে হবে তবে এটা মোটামুটি জানলেও চলবে কেননা আপনি যখন বায়ারের সাথে ডিল করবেন তখন এটি আপনাকে সাহায্য করবো। তাদের ভাষা বুঝতে আপনার পক্ষে অনেক সহজ হবে।
৫. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজের জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমানে সময় দিতে হবে। আপনি যদি এখানে সময় দিতে না পারেন তাহলে আপনি কোনদিনও এই কাজ ভালোভাবে করতে পারবেন না বা আপনি সফল হতে পারবেন না। আর সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাইন্ড সেট করা । আপনাকে এমনভাবে মাইন্ড সেট করতে হবে যে, আপনি প্রতিদিন নিদির্ষ্ট পরিমাণ সময় এখনে দিতে পারেন। আপনাকে প্রতিদিনের লক্ষ্যমাত্রা রাখতে হবে আপনি যেন মিনিমাম ৪-৫ ঘন্টা সময় ব্যয় করতে পারেন । কথায় আছে কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে। তাই, সময় দিয়ে শিখুন।
৬. আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করতে হবে এখানে। আর ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে। প্রথম দিকে হয়তো কাজ পেতে কিছৃট বেগ পেতে হতে পারে তখন হতাশ না হয়ে বরং ধৈয্য ধরে আপনার স্কিলগুলোকে ঝালাই করে নিতে হবে।
# ওয়েব ডেভেলপার এর ধরণঃ
১. ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার
২. ব্যাকএন্ড ডেভেলপার
৩. ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার
ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপার বা ওয়েব ডিজাইনার এর কাজ কি?
ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের জন্য বাহ্যিক গঠন তৈরী করা। ওয়েব ডিজাইনারের মুল কাজ একটা সাইটের জন্য টেমপ্লেট (ওয়েবপেজ) বানানো, এখানে কোন এপ্লিকেশন থাকবেনা। যেমন লগিন সিস্টেম, নিউজলেটার সাইনআপ, পেজিনেশন, ফাইল আপলোড করে ডেটাবেসে সেভ করা, ইমেজ ম্যানিপুলেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপণ থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপণের পরিবর্তন এগুলি এপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন। এসব তৈরী করতে হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে। কোন প্রকার এপ্লিকেশন ছাড়া একটা সাইট তৈরী করা এটাই ওয়েব ডিজাইন, এধরনের ডিজাইনকে বলা যায় স্টাটিক ডিজাইন। ওয়েব ডিজাইনের জন্য এই ধারনাটি সাধারনত ব্যবহৃত হচ্ছে।
কে শিখতে পারবে ওয়েব ডিজাইন?
যে কেউ শিখতে পারবে যে নূনতম শিক্ষিত, যার কম্পিটার এর বেসিক নলেজটুকু জানা আছে । এর জন্য এমনটি নয় যে অনেক ইংলিশ ভালো জানতে হবে কিংবা অনেক সফটওয়্যার জানতে হবে।
ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য যা প্রয়োজন তা হলো:
১.ফটোশপ / ইলাস্ট্রেটর.
২.এইচ টি এম এল (HTML).
৩.সি এস এস (CSS)
ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজের সুযোগঃ
ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপাররা একটি ওয়েবসাইটের লে-আউট, তার ইন্টারেক্টিভ এবং নেভিগেশনাল এলিমেন্ট যেমন বাটনস, স্ক্রলবার, ইমেজ, অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন লিংক— এসবকিছু বাস্তবায়িত করেন। বিভিন্ন ব্রাউজার এবং ডিভাইসে ওয়েবসাইট বা অ্যাপ্লিকেশনের যথাযথ প্রদর্শনও নিশ্চিত করেন ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার।
তারা ওয়েবসাইটগুলো এমনভাবে কোড করেন যাতে বিভিন্ন স্ক্রিন সাইজ ও ডিভাইসের ধরনের সাথে সেগুলো এডাপ্টেবল হয়। ফলে ইউজাররাও সবখানে সন্তোষজনক এক্সপেরিয়েন্স পান। এছাড়াও ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপাররা নিয়মিত ইউজেবিলিটি টেস্ট করা, ফ্রন্ট-এন্ডে কোনো বাগ দেখা দিলে তারা তা ফিক্স করার জন্য কাজ করেন। এই সব কাজ করতে তারা এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন),সফটওয়্যার ওয়ার্কফ্লো ম্যানেজমেন্ট — এগুলোও মাথায় রাখেন।
তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে থেকে উল্লেখ্য হচ্ছে, এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার হিসেবে জবের সংখ্যা তুলনা মূলকভাবে বেশ কম লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারই নিয়োগ করে থাকেন এবং তাদের মাঝে মাঝে ব্যাক-এন্ড ডেভেলপারও প্রয়োজন হয়। তাই শুধুমাত্র ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার হিসেবে বাংলাদেশের বাজারে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কিছুটা দুরূহই বলতে হয় এই দিকগুলো পর্যবেক্ষণ করে।
এর সম্ভাবনাময় দিক গুলো :
একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনার এর চাহিদা অনেক বেশি হয়ে থাকে। ওয়েব ডিজাইনার হয়ে কখনো চাকরির জন্য মাসের পর মাস বেকার বসে থাকতে হয় না। আসলে বসে থাকার প্রয়োজন’ও পরে না কারণ এটা আন্তর্জাতিক মানের একটি পেশা। অনলাইন এ ফ্রিলান্সিং কিংবা অফসাইট এ কন্ট্রাকচুয়াল কাজের অনেক সুযোগ এখানে আছে। বছর বছর প্রমোশন না থাকলেও, বেতনের বৃদ্ধির হারটা অনেক উর্ধগতি। এই পেশায় অভিজ্ঞতা দিয়ে আপনার মুল্য বিচার করা হয়। এই পেশায় যার যত বেশি কাজের অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকে তার যোগ্যতাও তত বেশি হতে থাকে।
ব্যাকএন্ড ডেভেলপার বা ওয়েব ডেভেলপার এর কাজ কি?
একজন ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপারের ডেভেলপ করা স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে প্রাণসঞ্চার করার কাজটি যিনি ,করেন তিনিই হলেন ব্যাকএন্ড ডেভেলপার। ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপারের কাজের উপর ব্যাসেস করে ব্যাকএন্ড ডেভেলপার ওয়েবসাইটকে ডেভেলপ করে থাকেন। এজন্য ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপারকে ব্যাকএন্ড সম্পর্কে ধারণা না রাখলেও চলে কিন্তু ব্যাকএন্ড ডেভেলপারকে ফ্রন্টএন্ড সম্পর্কে ধারণা রাখতে হয়। নরমালি একজন ব্যাকএন্ড ডেভেলপার ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপা্রের কাছ থেকে একটি ওয়েবসাইট ডিজাইনের কোডগুলো নিয়ে সেটির একটি এডমিন প্যানেল তৈরি করেন। এডমিন প্যানেল তৈরি করার পর সেই ওয়েবসাইটের ডিজাইন পরিবর্তন করার জন্য বা নতুন পোস্ট লেখার জন্য কোডিং করতে হয়না। অর্থাৎ একজন ব্যাকএন্ড ডেভেলপার একটি ওয়েবসাইটকে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে রূপান্তর করে দেয়। এখানে আপনাকে প্রোগ্রামিং শিখতে হবে। এটাই মুল জিনিস ডেভেলপমেন্টে। মূলত ওয়েব প্রোগ্রামিং যেমন ASP.NET, PHP, Java বা অন্য কোন ল্যাংগুয়েজ। তবে পিএইচপির কাজ বর্তমানে সবচেয়ে বেশি।ওয়েব ডেভেলপমেন্টে প্রোগ্রামিং শেখার পাশাপাশি আপনাকে সংশ্লিষ্ট অনেক কিছু শিখতে হবে। অন্যথায় আপনি আর উপরে উঠতে পারবেন না। যে বিষয়গুলো ভালোভাবে শিখতে হবে:
১. যে কোন একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ মূলত PHP শিখতে হবে।
২. মাইসিক্যুয়েল-এর মতো একটি ডাটাবেস ডিজাইনের মাধ্যমে, আপনাকে মধ্যম স্তরের অন্তত একটি পূর্ণাঙ্গ রিলেশনাল ডাটাবেস তৈরি করতে সক্ষম হতে হবে।
৩. খুবই ভাল কোয়েরি শিখতে হবে। যাতে SQL দিয়ে জটিল কোয়েরি করতে পারতে হবে।
৪. ফেসবুক / গুগল / টুইটার / আমাজন প্রভৃতি বিখ্যাত সাইটের ওয়েব সার্ভিস / API কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা আপনার জানা উচিত (এক্সএমএল)
৫. হোস্টিং সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে বিশেষ করে সার্ভার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ধারনা।
৬.কিভাবে একাধিক ডেভেলপার একই প্রজেক্টে সোর্স কন্ট্রোল যেমন git, tortoise svn ইত্যাদি দিয়ে কাজ করতে পারে এসব জানতে হবে ।
৭. এজাক্স, জেকোয়েরি এবং ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে প্রচুর জানতে হবে। যেমন নেটবিনস (কোড লেখার IDE), HeidiSQL, MySQL WorkBench (ডেটাবেস ডিজাইন টুল) এসব জানতে হবে।
ব্যাক-এন্ড ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজের সুযোগঃ
ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার ফ্রন্ট-এন্ডকে সচল রাখার জন্য যে ইনফাস্ট্রাকচার দরকার তা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন। এর মূলত তিনটি অংশ বলা যায়— সার্ভার, অ্যাপ্লিকেশন, ডেটাবেজ। ব্যাক-এন্ড ডেভেলপারদের দেওয়া কোড সার্ভার অ্যাপ্লিকেশন এবং ডাটাবেসের মধ্যে মসৃণ যোগাযোগ নিশ্চিত করে। তারপর বিভিন্ন ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট টুলস সার্চ, এডিট এবং ডেটা সেভ করে এবং ফ্রন্ট-এন্ডে পাঠায়।ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপারদের মতো, ব্যাক-এন্ড ডেভেলপাররা তাদের চাহিদা মেটাতে ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করে। ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্ট টাস্কগুলি সাধারণত ডেটাবেস তৈরি, সংহত এবং রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যাক-এন্ড ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে সার্ভার-সাইড সফটওয়্যার তৈরি, কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি এবং বাস্তবায়ন এবং ওয়েব সার্ভার প্রযুক্তি এবং অপারেটিং সিস্টেমগুলির সাথে কাজ করে।
বাংলাদেশে ব্যাক-এন্ড ডেভেলপারদের সুযোগ তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও নিজেকে ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপার হিসেবে তৈরি করতে পারলেই সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই ফ্রন্ট-এন্ডের তুলনায় ব্যাক-এন্ড ডেভেলপার বেশি প্রয়োজন হয়। কারণ সেখানে কাজের ক্ষেত্র অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপার হায়ার করাই বেশি লাভজনক, যেহেতু সেই ডেভেলপার প্রয়োজনমত যেকোনো রোলেই কাজ করতে পারেন।
ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার এর কাজ কি?
কোন ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার পাশাপাশি ওয়েবসাইটের আরও কিছু কাজ করা লাগে। ওয়েবসাইট ডিজাইন করাই ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে একমাত্র কাজ নয় বরং ওয়েবসাইটের সার্ভারসহ ওয়েবসাইটের কাঠামো তৈরি ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি অংশ বহন করে। তাই একটি ওয়েব ডেভেলপারের প্রয়োজন হয় একটি ওয়েবসাইটের কাজের জন্য এবং সেই সাথে একজন ওয়েব ডিজাইনার এবং একজন ফুল-স্ট্যাক ডেভেলপারের কাজ হল ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টের দুটোর কাজ সম্পূর্ণ করা এবং সমন্বয় করা।
একজন ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার কোথায় কাজ করেন?
ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার হলে আপনার কাজের ক্ষেত্র শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে সবধরনের প্রতিষ্ঠানেরই ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয়। তাই ফুল স্ট্যাক ডেভেলপারের কাজের ক্ষেত্র একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ হলেও কাজের ধরনে বেশ বৈচিত্র্য থাকে এবং এক্ষেত্রে সৃষ্টিশীলতা দেখানোর বেশ সুযোগ থাকে। বৈচিত্র্যের সাথে কাজ করতে চান এবং সৃষ্টিশীল কাজের প্রতি আগ্রহী হলে ফুল স্ট্যাক ডেভেলপার হিসেবে আপনি কাজ করতে পারেন।
একটি পূর্ণ স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার কি উপার্জন করতে পারে?
একটি ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার কত উপার্জন করবে তা তার কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে। যাইহোক, দক্ষতার উপর নির্ভর করে, কিছু কোম্পানির ২০,০০০টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সেলারি রয়েছে।
একটি ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার কি পরিমান উপার্জন করতে পারে?
একটি ফুল স্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার কত উপার্জন করবে তা তার কাজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করবে। যাইহোক, তবে দক্ষতা ভেদে কিছু কিছু কোম্পানিতে ২০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত সেলারি রয়েছে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যৎ চাহিদা :
বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট-এর চাহিদা মার্কেট প্লেস গুলোতে অনেক বেশি, সেই সাথে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছ এবং ভবিষ্যতে আরও বাড়বে এবং বাড়তেই থাকবে।
ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখেছেন এমন অনেকেই আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার, পিপলপারআওয়ার সহ আরো অনেক জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন।
সাধারণত যতদিন ওয়েবসাইট থাকবে ততদিন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদাও থাকবে। দিনদিন ওয়েবসাইটের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যেমন ধরুন, ২০১৫ হিসাব মতে বিশ্বে মোট ওয়েবসাইট ছিল তখন ৮৬ কোটি তারপরে ২০১৭ সাল নাগাদ এর সংখ্যা বেড়েছে ১১৫ কোটিরও বেশি। দুই বছরের এর পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ কোটিরও বেশি। আর বুঝতে বাকি নেই যে বর্তমান বিশ্বে ওয়েব সাইট ডেভলপার বা ওয়েবসাইট ডিজাইনার মূল্য বা চাহিদা কতটা। যেকোনো মার্কেটপ্লেসে একজন ওয়েব ডেভেলপার তার কাজের ধারা অনুযায়ী ঘন্টায় ২০ ডলার থেকে একশ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। বাংলাদেশে এমন অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা সাধারণত কাজের ধারণা দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় কমপক্ষে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে।
সাধারণত, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েব ডিজাইন কাজের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংকে সর্বোচ্চ চাকরি বা আয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তথ্য
ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সফটওয়্যার উন্নয়ন,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গবেষনা ও উদ্ভাবন
এবং বাংলাদেশে সমৃদ্ধি আনয়নে ফ্রন্টিয়ার /ইমার্জিং টেকনোলজির ব্যবহার।
2022-09-15